আমাদের কেন ফযরের নামায কাজা হয় ?
লিখেছেন লিখেছেন খালেদ সাইফুদ্দিন ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:২৪:৪২ দুপুর
অনেককেই দেখা যায় ৪ ওয়াক্ত নামায নিয়মিত পড়ে এমনকি জামায়াতের সাথে পড়া হয়। কিন্তু ফযরের নামায ক্বাযা হয়ে যায়। এর কারন কি ? এবারের রমজারে পেলাম তার উত্তর।
অনেকের সাথে আলাপ করেছি দেশে এবং বিদেশে । রাতে ঘুমানোর পর সেহেরী খেতে উঠতে পারে নাই কয় জন ? ৩৫-৪০ জনের মধ্যে মাত্র ৪ জন সেহেরী খেতে পারে নাই ২৯ দিনের মধ্যে মাত্র ২ বা ১ দিন করে।
যারা নিয়মিত সেহেরী খেয়েছে তাদের মধ্যে ১০% ফযরে্র নামায ক্বাযা করেছেন। কারন কারো সকালে অফিস আছে তাই সেহেরী খেয়েই শুয়ে পড়েছেন আবার কেউ খেয়ে একটু শুয়েছে ঘুম এসে গেছে আর উঠা হয়নি। অর্থাৎ ফযর ক্বাযা।
এবারের বিশ্বকাপ ফুটবল হয়েছে প্রায় রাতে। সেমিফাইনাল- ফাইনাল হয়েছে বাংলাদেশ সময় রাত ২টায়।
কিন্তু কোন ফুটবল প্রেমিক খেলা মিস করেছে তেমন সংবাদ কানে আসে নাই।
প্রশ্ন করেছিলাম কিভাবে তারা সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠে সেহেরী খেত বা খেলা দেখত। সবারই উত্তর ছিল একই। মানুষ যখন কোন একটি কাজ করার জন্য মনস্থির করে এবং তা গুরুত্বের সাথে মনে রাখে তখন তার ঘুম যতই গভির হউকনা কেন , সময় মত ঠিকই ঘুম ভেঙ্গে যাবে। সেটা নির্ভর করছে যে কাজটা তাকে ঘুম থেকে উঠে করতে হবে তার গুরুত্ব তার কাছে কতটুকু।
কথাটা ১০০ ভাগ সত্যি। মনে পরে ছোট বেলার কথা। আব্বার সাথে ঢাকা যাওয়ার জন্য ভোর ৭ টার চট্টগ্রাম-ঢাকা উল্কা ট্রেন পাওয়ার জন্য কত সকালেই ঘুম ভেঙ্গে যেত। অথচ প্রায় শুক্রবার স্কুল মিস করতাম । অন্যান্য দিন সকাল ১০ টায় স্কুল হলেও শুক্রবার হত ৮টায়।
রমজানের রোজা সকল ঈমানদারের জন্য ফরজ, এটা সকল মুসলমান মনে প্রাণে বিশ্বাস করে এবং তা আল্লাহ হুকুম হিসাবে মেনে, আল্লাহকে খুশি করার জন্যই রোজা রখেন। এটা কোন লোক দেখানো ইবাদত নয়। শুধু মাত্র আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহর সন্তোষটির জন্য রোজা রাখেন বলেই সুযোগ থাকা সত্ত্বেও গোপনে কিছু খাওয়ার সুযোগ নেয় না কোন মুসলমান। রোজা ইসলামের ৫টি স্তম্বের মধ্যে তৃতীয় আর নামায় দ্বিতীয়। অথচ নামাযকে আমরা একটি উচ্ছিক ইবাদত হিসাবে গন্য করি, যার কারনে নামাযের গুরুত্ব আমারা বুঝিনা বা বুঝতে চাইনা।
নামায ক্বাযা করার ব্যাপারে চিন্তাই করা যায় না। রাসুল (সঃ)এর একটি হাদীসের বর্ননা অনুযায়ী, যারা কোন সঠিক উজর ছাড়া ঘরে নামায পড়ে তাদের ঘরে আগুন দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন যদি ঐ ঘরে নারী ও শিশু না থাকত । এমন একটি ইবাদতের ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই সতর্ক হওয়া উচিৎ।
যারা বলেন ফজরে উঠতে পারিনা তাদের অবশ্য চিন্তা করা উচিৎ এর শাস্তি কত ভয়াবহ। আল্লাহর ভয়ে আমরা যেভাবে রমজানে দিনের বেলায় খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখি, আরামের ঘুমকে ত্যাগ করে সেহেরী খেতে উঠি , তার ছেয়ে অধিক গুরুত্ব দিয়ে ফজরের নামায শুধু সময়মত পড়া নয় বরং জামায়াতে পড়ার জন্য কঠোর সিদ্দান্ত নিতে হবে। তবেই আল্লহ আমাদেরর সাহায্য করবেন সময়ে ঘুম থেকে উঠার জন্য। শুধু তাই নয় , এই কাজটা আমাদের জন্য খুব সহজ একটা কাজে পরিনত হবে।
আল্লাহ আমাদের সহায় হউন- আমীন
অন্য লিখার জন্য এখানে ক্লিক করন
বিষয়: বিবিধ
১৪০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন