ফেরাউন ও আবু জাহেল কে দেখলাম, কিন্তু! বেরে
লিখেছেন লিখেছেন সাইফুল সাইমুম০১ ৩০ অক্টোবর, ২০১৪, ০১:৩৯:০০ দুপুর
কথায় বলে না ঃ বাপ কা বেটা, সিপাহী কা ঘোড়া। সেই সুবাদে আমার বাবার হাতে আমার লেখা পড়ার হাতে খড়ি,ছোট বেলা থেকেই বাবার সাথে গ্রাম-গঞ্জের িবভিন্ন ওয়াজ মাফিলে যেতাম, সখের ভিতর ছিল প্রিয় নবী-রাসূল ও মনিষিদের জীবনী পড়া, এমনটি কিশোরে হয়ত সবার ঘটে না। পড়তাম আর নিজের জীবনকে ঘিরে তা কল্পনার ভাব সাগরে হারিয়ে যেতাম। কিন্তু কিছু কিছু বিষয় তখন মেনে নিতে পারতাম না। বিশেষ করে মুছা (আঃ) সাথে ফেরাউনের এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহা মানব প্রিয় রাসূল (সঃ) এর সাথে মক্কার মুশরিক ও কাফের নেতাগণের ঘৃণিত আচারণ। আবু জাহেল, ওতবা ও সায়েবা আর মুনাফেক আবদুল্লাহ বিন ওবাই, দুর্দান্ত সাহসী বীর সীপাহী ওমর খালেদ হামজার (রাঃ) মত সাহাবারা থাকতে এই নিকৃষ্ট কুলাঙ্গারদের সেই সময়কার যে উৎপাত, ইতিহাসের পাতা থেকে এর যে সন্ধান মেলে তা হয় তো আমাদের মাঝে অনেকেরই জানা আছে। ঘৃণা আর রাগে শিরা উপশিরার রক্ত কনিকারা দৌড় শুরু করত তখন, মনে হতে এখুনি সেই বদর ওহুদ আর খন্ধকের প্রান্তরে ছুটে যায়, ফোরাতের উপকুলে কারবালার প্রান্তরে ইজিদের মুকাবিলায়। ইস্! কেন যে তখন আমার জন্ম হল না? সাহাবাদের সহচার্য ও প্রিয় নুর নবীজীর (সাঃ) এর খেদমতে নিজেকে সপে দিতাম। নগন্য এই বাসনা মুসলীম জাহানের তথা সারা বিশ্ব মুসলীম দের অন্তরে বিন্ধু পরিমাণ ঈমান থাকলে জাগবেই এই আর নতুন বৈ কি? কিন্তু না! তা আর কই হলো. এন করুঙ্গা তেন করুঙ্গা, আসলে কিছুই করে না, খাই আর ঘুমাই, রাজপ্রাসাদ আর রাজরাণীকে নিয়ে সব সময় পার করা। দুনিয়াতে আমার কত অংশ (জায়গা-জমি) আছে, তার প্রতিযোগিতা আমাদেরকে নেশাময় মাতাল করে তুলেছে। মৃত্যুই যে শেষ আশ্রয় তা সত্যি অদ্ভুত ভাবে ভুলে গেছি কি করে? বড় হয়ে একি দেখছি? বিশ্বাস করতে কষ্ট হলে তা হচ্ছে প্রতিনিয়ত, পৃথিবীর প্রতিটি কেন্দ্রবিন্ধুতে, মুসলীম ও ইসলাম বিদ্বেষী সেই ফেরাউন ও আবু জাহেলের দোসরগণ গা ছাটা দিয়ে উঠেছে। দুঃখ হয় এই যুগে এসে ও ফেরাউন আর আবু জাহেল কে দেখলাম কিন্তু আমার প্রিয় নবীজীকে দেখলাম না! কি করে দেখব? তিনিই তো শেষ নবী(সাঃ) আর তো ওহী আসবে না। ওহীর দর্জা যদিও বন্ধ কিন্তু আবু জাহেলে আর ফেরাউনদের দর্জা কিয়ামত পর্যন্ত খোলা। তারা তো যুগ থেকে যুগান্তর আসবেই তাদের সকল গোষ্টি ও সমাজের একটি মিশন’ সত্য পথের সাহসী কাফেলার পথ গতিরোধ করা। তাই তো কাফেলার সাথীরা শহীদী মিনার গড়েছে এই আধূনিক সভ্যতার কোলে জন্ম নিয়ে ও। সবুজের কোলে শিশির ভেজা পরিস্পূটিত আলোর আজান বিহানের সুরে সুরে দল বেঁধে এসেছে তার শহীদী ইদগাহের সেই রক্তাক্ত জায়নামাজের জামাতে। কিন্তু দুঃখবোধ আর অলসবোধ নিয়ে মুসলীম নামদারী এক বিশাল মুনাফেক গোষ্ঠি অপেক্ষামান সেই জামাত শেষে ফিরনী বিরানী রুটি গোস্ত ভোজনের আশায়। দিক্ দিক্ দিক্ তোদেরকে, কি করে যাবি হাউজে কাউছারের পানি পানে। মৃত্যুই তো জীবনের শেষ নয়? সে তো এক কঠিন থেকে কঠিনতর জীবনের শুরু। কতবার কত দলিল দিয়ে সেই গান শুনিয়ে যাই। সুর শুনলি অর্থ বুঝলি না রে? উত্তরসূরীদের স্মরণ কর চৌদ্দ পুরুষ নয় তোর তিন পুরুষ বেঁচে আছে কিনা? আর না হয় যারা মরে গেছে বিভিন্ন টেলিটক আর সাইনটক দের সাহায্যে তাদের কল করে ফ্রি ভাবে জেনে নে তারা কেমন আছে? হায় রে! বেহুস অবেলায় ঘুম যেয়ে করিলি সময় নষ্ট শরির নষ্ট আর মনের যত কষ্ট। বুকের ভিতর দফ দফানি তোর কি বন্ধ হবে না? রং তামাশায় ভুলে থাকা এই ভব কি সাঙ হবে না? প্রকাশ্য সব সাক্ষীরা তোর সাক্ষী হবে চিৎকার করে ও পার পাবি না। মুসলীম বিশ্বের যে নেতা নিধন এর ষড়যন্ত্র চলছে, ইহুদী ইসরাইল কার্লমাস্ক লেলিন আর কাফের মুশরিক ও মুনাফেকদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর উদ্বার্ত আহ্বান করছি সকল ভাষাভাষী মুসলমানদের যাদের অন্তরে বিন্ধু মাত্র ও ঈমান আছে। কারণ তা না হলে আপনারা ও যে ধরা পড়বেন, মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে। অন্যায় কারী ও অন্যায় সহ্যকারী উভয় সম অপরাধী।
পবিত্র আল্-কোরাআনে আল্লাহর ভয়ঙ্কর কিছু সতর্কবাণী (সূরা-অাল্-েকয়ামাহ
7 যখন দৃষ্টি চমকে যাবে,
10 সে দিন মানুষ বলবেঃ পলায়নের জায়গা কোথায় ?
15 যদিও সে তার অজুহাত পেশ করতে চাইবে।
20 কখনও না, বরং তোমরা পার্থিব জীবনকে ভালবাস
24 আর অনেক মুখমন্ডল সেদিন উদাস হয়ে পড়বে।
28 এবং সে মনে করবে যে, বিদায়ের ক্ষণ এসে গেছে।
36 মানুষ কি মনে করে যে, তাকে এমনি ছেড়ে দেয়া হবে?
37 সে কি স্খলিত বীর্য ছিল না?)
বিষয়: বিবিধ
১৭৭৭ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অসাধারণ বাস্তবধর্মী লেখনী গাফেল মুসলমানদের কে একটুও নাড়া দিবে কী!!
মুসলিমদের নিষ্কৃয়তা আজ সব ক্ষেত্রে!
এখনো হুশ ফোরবে না!!!
বারাকাল্লাহু লানা ওয়া লাকুম.....শ্রদ্ধেয় সাইফুল সাইমুম০১ ভাই!
আবার উঠুক জেগে ঘুমের পাড়া,
দিকে দিকে পড়ে জাক আগামীর নতুন সাড়া।
কালের নকীব তুমি প্রদীপ জাল
তোমাকে জানাই মোরা সম্ভাষণ।
ধন্যবাদ প্রিয় কবি সাইফুল ভাই।
ভাই আপানার কাছে আমি বরাবর ঋণীই থাকলাম
কি দিয়ে শুধাবো আপনার ঋন
আমায় এবার না হয় আপনার কন্ঠের সেই সুর দিয়ে দিন।
কনটাই আমার নয় সবই মহান প্রভুর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন