নাস্তিকেরা এবার তোরা আস্তিক হ’

লিখেছেন লিখেছেন সাইফুল সাইমুম০১ ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১২:২৭:১৯ রাত



“তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি করুণাময় আল্লাহ তা’আলার সৃষ্টিতে কোন তফাত দেখতে পাবে না। আবার দৃষ্টি ফেরাও; কোন ফাটল দেখতে পাও কি?” - সূরা আল্-মূলুক আয়াত নং ৩।

অনেকে হয় তো চমকে উঠবেন, ভাবতে পারেন শিরোনামের সাথে এইটির সর্ম্পক কি? সেই বিষয়টা পরিস্কার করে তুলে ধরতেই আমার এই লেখা।

আধুনিক এই সময়ে বর্তমান বিশ্বে আমরা সবাই বিশ্বাস করেছি যে কম্পিউটার আবিস্কার’ মানব জীবন যাপনের এক অনন্য মাত্রা ঘটিয়েছে, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা চিন্তা করছিল তার পর কি আসতে পারে? কিন্তু না এখন আংশিকটা নিশ্চিত হয়েছে যে আর কোন কিছুর প্রয়োজনই নেই, এই যন্ত্রটি দিয়ে প্রায় অনেকাংশে চাহিদা পুরুনে সক্ষম হয়েছে বৈকি?। সর্বপ্রথম যদিও বা এইটি একাউন্টের জন্য লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল এখন তার সীমানা ছাড়িয়ে, নেটওয়ার্ক ও ওয়েবে বিশ্ব প্রযুক্তিকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। টেলিফোন যদিও অনেক আগেই আবিস্কার হয়েছিল কিন্তু কম্পিউটারের সাথে পাল্লা দিতে মোবাইল পোগ্রামিং সফটওয়ার কোম্পানিগুলো ও আর বসে নেই, এক কথায় হলো যার কাছে স্বল্প মুল্যের একটি অ্যান্ড্রয়েড যুক্ত মোবাইল হাতে আছে সে অনায়াসে ফেইসবুক ইউটুব ও ওয়েব চালনাশক্তিতে সঞ্চালিত হয়। আর ফেইসবুক আর ইউটুব হচ্ছে অনেকটা নেশা অনেকটা নিঃসঙ্গ জীবনের স্বাধীনপ্রিয় সঙ্গীময় আমোদ-প্রমোদ বাঁধা বিহীন বিনোদন ভোগ। এই জগতে কেউ শিখায় আর কেউ শিখে, আবার অনেকে পথভ্রষ্ট হয় আর অনেকে উপকৃত ও হয়। তবে এই বিচার করা কারো পক্ষে সম্ভব কিনা জানা হয় নি এখনো। তবে ভালোর সংখ্যা বরাবরই কমথাকে। আমরা মূল কথায় ফিরি আসি, পৃৃথিবীতে অনেক জ্ঞানীগুণী আগে যেমন জন্মেছিল এখনও জন্ম নেয়। তবে তাদের মূল জ্ঞানের যে সীমাহীন ভান্ডার তা পৃথিবীর কোথায় অবস্থীত? প্রশ্নাত্তরে হয়ত অনেকেই অনেক ভাবে বলতে পারেন। তা সকলের নিজস্ব চিন্তা-চেতনা ও মূল্যবোধ আর নিজ গন্ডি অর্থ্যাৎ জ্ঞানের ভিতর। আর আমি বলব তা হলো পবিত্র কোরাআন আল্লাহ পাকের কালাম। বলতে পারেন নাস্তিকেরা কি কোরাআনের কাছে যায়! আমি বলব অবশ্যই! অবশ্যই! অবশ্যই! তবে আস্তিক আর নাস্তিকদেও মধ্যে পার্থক্য হলো দুটো, আস্তিকেরা আল্লাহর সীমানা অতিক্রম করে না। কিন্তু নাস্তিকের আল্লাহর সীমানা অতিক্রম করে উদ্ভুত পলাপ সাজিয়ে সেথায় সিরকা(রস) যুক্ত করে দেয়। আর কতগুলো উডন্ত মাছি দল বেঁদে সেখানে এসে বোঁ বোঁ শুরু করে দেয়।

নাস্তিকেরা কিভাবে কোরআনের কাছে আসে? প্রতি নিয়ত সকল মানবের সামনে আল্লাহর অগণীত সৃষ্টিই তার প্রমাণ। যে নাস্তিক নাস্তিকতা বিশ্বাস করো! বলতো পারো কি তোমার হাতের নখগুলো কখন বেড়েওঠে? কখন তোমার মাথার চুলগুলো থেকে শুরু করে শরীরের প্রতিটি পশম বেড়ে ওঠে? শরীরের গোস্ত ও হাড় কিভাবে ধীরে ধীরে বাড়ে কখনও কি দেখেছ? শুধু কেটে চেটে ধমিয়ে রাখো কিন্তু যে সবস্থানে এই সব বেড়ে ওঠো তার মূল(গোড়া) থেকে কেটে ফেলে দিলেও তার শিকড় কোনদিনই পাবে না। কারণ এইটি তো আল্লাহরই সৃষ্টি। বাড়ির আঙিনায় যে ফুলওফল গাছের বীজ বপন করলে তা কিভাবে বেড়ে উঠে, ভাবছো তোমার পরিচর্যায়! কক্ষনো না! সেখানে ও আল্লাহর নির্দেশে ঐ ফুল ফোঁটে ফল হয়। প্রিয়তমা স্ত্রী যখন কনসেপ্ট(পেগনেট) হয়, তুমি ভাব তুমি বীর পুরুষ! না রে অধম, সেটা তো ঐ রবেরই ইচ্ছা আর অনুগ্রহ। কিভাবে তোমাকে নাপাক পানি থেকে জমাট রক্তে তার পর ধীরে ধীরে হাড়-গোস্ত দিয়ে মানুষে পরিণত করেছে। তাও মায়ের পেট একটি বদ্ধ অন্ধকার তার ভিতর জরায়ু আরেকটি অন্ধকারের ভিতর কি পরি¯ফুটিত করে তোমাকে ও তোমার শিশু সন্তান সহ সকলকে এক অনন্য সুন্দর অবয়ব দিয়ে রেখেছে তুমি কি কভু একটি বারের জন্যও ভেবেছো? কয়েক মিনিট মটিটরে ও রঙ্গিন কাগজে সেইটুকু দেখতে গিয়ে হাজার হাজার টাকা খরচ কর। কিন্তু প্রতিনিয়ত যে সৃষ্টিশীল জীবনকে দুরভীন লাগিয়ে রেখে রের্কড করতে পারো কিন্তু সেখানে বেড়ে ওঠার কোন ভিডিও ফোটেজ পাবে না। এইভাবে বৃক্ষরাজী,ফল-ফুল, শস্য, আকাশ-বাতাস নদী-সমুদ্র , আগুন-পানি, পাহাড়-পর্বত, মানব-দানব, পশু-পাখী, গ্রহ-নক্ষত্র, চাঁদ-সুরুজ, তারকারাজী এক কথায় আল্লাহর সৃষ্টির বাহিরে এমন কোন কিছু নেই যেই টি তোমার হাত দ্বারায় তিনি সৃষ্টি করিয়েছেন, সকল সৃষ্টির সঞ্চলনা আর বেড়ে ওঠা ও ক্ষয়ে যাওয়া তোমার দৃষ্টি সম্মুখে এক একটি আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার জন্য স্ববল রাজ সাক্ষী। মুখের দাড়ী! যতই ক্রীম সেপ করো জম্মাবেই এবং যতই কলব করো তা সাদা হয়ে উঠবেই। সবাই আল্লাহর হুকুম মেনে চলে এমন কি তোমার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গ গুলো ও। আর তুমি সে আল্লাহর হুকুম মানবে না। তুমি তার সীমানা পার হয়ে যেমন দুনিয়ায় ও চলতে পারনা আখেরাতে(পরকালে)ও পারবে না। তাই বলি কোরাআনের এই আয়াত আল্লাহর জিজ্ঞসা(প্রশ্নের) জবাব তোমার কাছে আছে কি? পৃথিবী সৃষ্টি লগ্ন থেকে এই পর্যন্ত কেউ দিতে পারে নাই তোমরাও দিতে পারবে না আমরা ও না। তবে ফেইস বুক আর ইউটুবে যেসব ছবি, ভিডিও ফুটেজ, নগ্নবীহীন সৃষ্টিশীল আল্লাহর গুণগানে মত্ত সেসব গুলো তোমাদের মনের বৃত্তকে নাড়াতে না পারলে ও কোরাআনের সং¯পর্শে আসলে ইনশ্ আল্লাহ্ অবশ্যই পারবে। আর তাই বলি “নাস্তিকেরা এবার তোরা আস্তিক হ’

বিঃদ্রঃ ( হ্যাঁ এই সব সৃষ্টির বেড়ে ওঠা আস্তিকেরাও দেখেনি কিন্তু তারা কৃতজ্ঞ প্রকাশ করে এবং প্রশংসা করে মহান রবের আর বিশ্ব নেতা মোহাম্মদ(রা) এর পথে চলার চেষ্টা করে। আর তোমাদের মত তারা আল্লাহর সীমানা অতিক্রমের দুঃসাহসীকতা কখনো দেখায় না)

বিষয়: বিবিধ

২০৭৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

269451
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২৪
শেখের পোলা লিখেছেন : সুন্দর উপস্থাপনা৷ ধন্যবাদ৷
২২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
221019
সাইফুল সাইমুম০১ লিখেছেন : প্রিয় শেখের পোলা আপনাকে পেয়ে আমি অসম কৃতজ্ঞ যে আপনার মত একজন খ্যাতিমান ব্লগার আমার লেখার প্রথম পাঠক ও মন্তব্যক আপনাকে জানাই জাজাকুমুল্লাহ্ খায়ের
269453
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪৫
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ওদের সীমা-অতিক্রমের চিৎকার শুনলে আমার এটা মনে পড়েঃ

ইয়া মা’শারাল জিন্নি ওয়াল ইনসি ইনিসতাতা’তুম আন তানফুযু
মিন আখতারিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ফানফুযু
লা তানফুযুনা ইল্লা বিসুলতান
ফাবি আইয়্যি আলা-ই রাব্বিকুমা তুকাযযিবান
277029
২২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০১:০২
সাইফুল সাইমুম০১ লিখেছেন : প্রিয় বুড়া মিয়া, নামটা যদিও বুড়া মন্তব্য কিন্ত কচ্ কচে কাঁচা, আরো তা কোরাআনের প্রিয় একটি সূরা দিয়ে, অাপনার কোন জবাব নেই, আপনাকে উপহার দিলাম ইলমে বিল ব্লগ টুড়ে. জাজাকুমুল্লাহ্ খায়ের

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File