কয়েকটি ইসলামিক প্রশ্ন ও উত্তর-১০
লিখেছেন লিখেছেন কাঁচা পত্তের রস ০২ এপ্রিল, ২০১৫, ০৯:৩৫:১৫ রাত
ইসলমিক জীবন আমরা সবাই চাই। তাই জানতে হবে ইসলামিক নিয়ম। আজ ১০ম পর্বে যে প্রশ্নত্তোর গুলো আমরা দেখব সেগুলো হলো:
*কোন ব্যক্তি মসজিদে এসে যদি দেখে যে, ইমাম শেষ তাশাহহুদে আছেন, তাহলে সে কি জামাআতে শামিল হবে, নাকি শামিল না হয়ে পরবর্তী জামাআতের অপেক্ষা করবে?
*প্লেনে কীভাবে নামায পড়া যাবে?
*যে মসজিদে কবর আছে, সে মসজিদে নামায শুদ্ধ কি?
প্রশ্ন: কোন ব্যক্তি মসজিদে এসে যদি দেখে যে, ইমাম শেষ তাশাহহুদে আছেন, তাহলে সে কি জামাআতে শামিল হবে, নাকি শামিল না হয়ে পরবর্তী জামাআতের অপেক্ষা করবে?
উত্তর: যদি সে নিশ্চিতভাবে জানে যে, পরবর্তী জামাআতের জন্য লোক আছে, তাহলে সে শেষ বৈঠকে শামিল না হয়ে অপেক্ষা করবে এবং জামাআতের সাথে নামায পড়বে। যেহেতু সঠিক মতে পূর্ণ এক রাকআত না পেলে জামাআত পাওয়া যায় না। কিন্তু যদি কোন লোক আসার আশা না থাকে, তাহলে উত্তম জামাআতে শামিল হয়ে নামায আদায় করা; যদিও তা শেষ বৈঠক। কারণ জামাআত সহকারে নামাযের কিছু অংশ পাওয়া, মোটেই কিছু না পাওয়া থেকে উত্তম। অতঃপর সে যদি জামাআতের শেষ বৈঠকে শামিল হওয়ার পর শুনতে পায় যে, দ্বিতীয় জামাআত খাড়া হয়েছে, তাহলে সে ঐ নামায (সালাম না ফিরে) বাতিল করে তাদের সাথে জামাআত সহকারে নামায আদায় করতে পারে। অথবা দু’রাকাআত হয়ে থাকলে তা নফলের নিয়ত করে সালাম ফিরে নামায শেষ করে ঐ জামাআতে শামিল হতে পারে। পরন্ত সে একাকী নামায শেষ করলেও তাতে কোন দোষ নেই। সে এই তিনটির মধ্যে একটিকে এখতিয়ার করতে পারে। -(ইবনে উষাইমীন)
প্রশ্ন: প্লেনে কীভাবে নামায পড়া যাবে?
উত্তর: যেভাবে সম্ভভ, সেভাবেই পড়ে নিতে হবে। কিবলা মুখে দাঁড়িয়ে, রুকু সিজদা যথা নিয়মে করা সম্ভভ হলে, তা করতে হবে। নচেৎ বসে ইশারায় রুকু সিজদা করে নামায আদায় করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেছেন, “আল্লাহকে যথাসাধ্য ভয় করে চল।” (তাগাবুনঃ ১৬)
তিনি ইমারান বিন হুসাইন (রঃ) কে বলেছিলেন, “তুমি দাঁড়িয়ে নামায পড়। না পারলে বসে পড়। তাও না পারলে পার্শ্বদেশে শুয়ে পড়।” ১৪৯
উত্তম হল প্রথম অক্তে নামায পড়ে নেওয়া। অবশ্য গন্তব্যস্থলে মাটিতে নেমে শেষে অক্তে নামায আদায় করার আশা থাকলে তাও করতে পারে। অনুরূপ মোটরগাড়ি, ট্রেন ও পানিজাহাজে নামাযের সময় হলে একই নিয়ম। ১৫০
ফুটনোটঃ১৪৯ (বুখারী, আবূ দাঊদ, আহমাদ, মিশকাত ১২৪৮ নং), ১৫০ (ইবনে বায)
প্রশ্ন: যে মসজিদে কবর আছে, সে মসজিদে নামায শুদ্ধ কি?
উত্তর: যে মসজিদে কবর আছে, সে মসজিদে নামায শুদ্ধ নয়, চাহে সে কবর নামাযীদের পিছনে বা সামনে, ডানে বা বামে হোক। যেহেতু নবী (সঃ) বলেছেন, “ইয়াহুদী খ্রিস্টানদের উপর আল্লাহ্র অভিশাপ, কারণ তাঁরা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদ বানিয়ে নিয়েছে।” ১৫১
তিনি আরো বলেছেন, “সাবধান! তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা তাদের নবী ও নেক লোকেদের কবরকে মসজিদ বানিয়ে নিত। সাবধান! তোমরা কবরগুলোকে মসজিদ বানিয়ে নিয়ো না। এরূপ করতে আমি তোমাদেরকে নিষেধ করেছি।” ১৫২
আর যেহেতু কবরের ধারে পাশে নামায পড়া শিরকের অন্যতম অসীলা এবং তাতে থাকে কবরস্থ ব্যক্তিকে নিয়ে অতিরঞ্জন, সেহেতু উক্ত হাদীসদ্বয় এবং অনুরূপ আরো অন্যান্য হাদীসের উপর আমল করে শিরকের ছিদ্রপথ বন্ধ করার লক্ষ্যে কবরযুক্ত মসজিদে নামায নিষিদ্ধ হওয়া আবশ্যক। ১৫৩
ফুটনোটঃ১৫১ (বুখারী ১৩৩০, মুসলিম ৫২৯ নং), ১৫২ (মুসলিম ৫৩২নং), ১৫৩ (ইবন বায)
উত্তর দিয়েছেন: আব্দুল হামীদ ফাইযী, বাংলা হাদিস (নামাজ, নামায, সলাত) Click this link
পূর্বের পর্বগুলো একসাথে- কয়েকটি ইসলামিক প্রশ্ন ও উত্তর
বিষয়: বিবিধ
১৯৭৬ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
............................
নিয়ত করে নামাজে দাড়ানোর পর নামাজ বাতিল করার নিয়ম এই প্রথম জানলাম! এই নিয়মটি সহী হাদীস দ্বারা প্রমাণিত কিনা সন্দেহ থেকে যায়!
সুতরাং এই বিষয়ে তথ্য প্রমাণ দিলে ভিব্রান্তি থেকে বাঁচাতে পারব।
উপরের মন্তব্যটি মুছে দিবেন প্লিজ।
প্রশ্ন: যে মসজিদে কবর আছে, সে মসজিদে নামায শুদ্ধ কি?
উত্তর: যে মসজিদে কবর আছে, সে মসজিদে নামায শুদ্ধ নয়, চাহে সে কবর নামাযীদের পিছনে বা সামনে, ডানে বা বামে হোক। যেহেতু নবী (সঃ) বলেছেন, “ইয়াহুদী খ্রিস্টানদের উপর আল্লাহ্র অভিশাপ, কারণ তাঁরা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদ বানিয়ে নিয়েছে।” ১৫১
তিনি আরো বলেছেন, “সাবধান! তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা তাদের নবী ও নেক লোকেদের কবরকে মসজিদ বানিয়ে নিত। সাবধান! তোমরা কবরগুলোকে মসজিদ বানিয়ে নিয়ো না। এরূপ করতে আমি তোমাদেরকে নিষেধ করেছি।” ১৫২
আর যেহেতু কবরের ধারে পাশে নামায পড়া শিরকের অন্যতম অসীলা এবং তাতে থাকে কবরস্থ ব্যক্তিকে নিয়ে অতিরঞ্জন, সেহেতু উক্ত হাদীসদ্বয় এবং অনুরূপ আরো অন্যান্য হাদীসের উপর আমল করে শিরকের ছিদ্রপথ বন্ধ করার লক্ষ্যে কবরযুক্ত মসজিদে নামায নিষিদ্ধ হওয়া আবশ্যক। ১৫৩
.............................
উপরের বিষয়টিতে একমত বাংলাদেশের অলিতে গলিতে মাজার আর মাজার!! মাজারকে কেন্দ্র করে মসজিদ বানানো হয়েছে সেই মসজিদ গুলোতে নামাজ পড়লে....... একই হাল হবে বলে মনে করি।
উপরের মন্তব্যটি মুছে দিয়েছি।
ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন