কয়েকটি ইসলামিক প্রশ্ন ও উত্তর-১

লিখেছেন লিখেছেন কাঁচা পত্তের রস ০১ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৯:৫৩:১৭ রাত



জীবন চলার পথে যে বিষয় গুলো আমাদের নিয়মিত প্রয়োজন হয় এই রকম কিছু বিষয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর। সঠিক বিষয় গুলো হয়তোবা আমরা জানি অথবা জানিনা । তাই আসুন বিষয় গুলো জেনে নিই।

নখে নখ পালিশ লাগানো কি বৈধ?



নখে নখ পালিশ লাগানো বৈধ। তবে উযু-গোসলের আগে তা তুলে ফেলতে হবে। নচেৎ উযু গোসল শুদ্ধ হবে না। অবশ্য যে রঙ পানি আটকায় না, সে (আলতা বা মেহেন্দি জাতীয়) রঙ ব্যবহার করা যায় ।

বিউটি পার্লারে সুন্দরী সাজতে যাওয়া কি মুসলিম মহিলাদের জন্য বৈধ?

কয়েকটি কারণে বৈধ নয়ঃ

(ক) অপ্রয়োজনে তাতে অর্থের অপচয় হয়।

(খ) পুরুষ কর্মচারীর স্পর্শ নিতে হয়।

(গ) অপরের সামনে লজ্জাস্থান খুলতে হয়।

(ঘ) সৌন্দর্যে অনেক ক্ষেত্রে কাফের মহিলাদের সাদৃশ্য অবলম্বন হয়।

(ঙ) অনেক সময় গুপ্ত ক্যামেরায় মহিলার নগ্ন ছবি ধরে রাখা ও নেটে প্রচার করা হয়।

হাতের নখ লম্বা করা কি হারাম?

হাতের নখ কেটে ফেলা প্রকৃতিগত সুন্নত। নবী (সঃ)বলেছন, “প্রকৃতিগত আচরণ (নবীগণের তারীকা) পাঁচটি অথবা পাঁচটি কাজ প্রকৃতিগত আচরণ,

(১) খাতনা (লিঙ্গাত্বক ছেদন )করা।

(২) লজ্জাস্থানের লোম কেটে পরিষ্কার করা।

(৩) নখ কাটা।

(৪) বগলের লোম ছিঁড়া।

(৫) গোঁফ ছেঁটে ফেলা।” (বুখারী, মুসলিম)

আনাস (রঃ) বলেন, “মোছ ছাঁটা, নখ কাটা, নাভির নিচের লোম চাঁছা এবং বোগলের লোম তুলে ফেলার ব্যাপারে আমাদেরকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে; যাতে আমরা সে সব চল্লিশ দিনের বেশী ছেড়ে না রাখি।” (মুসলিম ২৫৮ নং)

তাছাড়া তাতে রয়েছে জন্তু-জানোয়ার ও কিছু কাফের মহিলাদের অনুকরণ ও সাদৃশ্য অবলম্বন, যা মুসলিমের জন্য বৈধ নয়। (ইবনে বায)

উত্তর দিয়েছেন: আবদুল হামীদ ফাইযী

বিষয়: বিবিধ

১৭৪৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

298676
০১ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:১০
udash kobi লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ Rose
০২ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৫৫
241874
কাঁচা পত্তের রস লিখেছেন : ধন্যবাদ-Good Luck
298684
০১ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:৫৯
সামসুল আলম দোয়েল লিখেছেন : ভালো লাগলো
০২ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৫৭
241875
কাঁচা পত্তের রস লিখেছেন : ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ।-Good Luck
298740
০২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:১৮
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : বিউটি পার্লারে যাওয়া বৈধ হতে পারে, তবে ক্ষতির আশংকা অনেক বেশি।
এতো সেজে গুজে শুধু স্বামীর সামনে বসে থাকা! তাই তাকে অন্যের চক্ষু শীতলের প্রয়োজন পড়ে, অবাধ্য হয় স্বামীর, যা জায়েজ নয়।
কখনো এই প্রতিষ্ঠানগুলো আগত নারীদের দিয়ে বিত্তশালিদের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করে থাকে, কখনো হিডেন ক্যামেরার মাধ্যমে বিষেষ অংগ গুলো তুলে পর্নোগ্রাফির বাজারে ব্যাবসা করে, এতোসব ঘটার সম্ভাবনা থাকার পরেও যদিও কোন নারী যায়, অথবা তার স্বামাই, গার্ডিয়ান মুসলিম নারীদের পার্লারে পাঠায় তবে কিছু বলার নেই, যা হবার তাই হবে
০২ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:০২
241876
কাঁচা পত্তের রস লিখেছেন : ইসলাম সর্ম্পকে সচেতন এরকম কোন স্বামীই তার স্ত্রীকে বিউটি পার্লারে পাঠাতে পারে না। তবে অবাধ্য স্ত্রীরা অনেক সময় স্বামীর অনুমতি ছাড়াই যায়। যার দ্বায়ীত্ব সেই স্ত্রী লোককেই নিতে হবে। অনেক ধন্যবাদ অনেক ধন্যবাদ গাজী ভাইকে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য।-Good Luck
298766
০২ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:০০
কাহাফ লিখেছেন :
দ্বীনী সচেতনতা মুলক পোস্ট! অনেকের কাজে লাগবে!
ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহু খাইরান!!!
০২ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:৩০
241879
কাঁচা পত্তের রস লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই কাহাফ। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক ইসলাম জানার ও মানার তৌফিক দান করুন।- আমীন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File