বিশ্বনবীর আধ্যাত্মিক ছকে বাংলাদেশের অবস্থান!!! সমগ্র বিশ্ব পরিচালনায় আল্লাহ একাই কি যথেষ্ট নন?

লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ আমিনুল হক ২৬ নভেম্বর, ২০১৪, ১২:০৩:১৯ দুপুর

"বিশ্বনবীর আধ্যাত্মিক ছকে বাংলাদেশের অবস্থান" এই শিরোনামে একটি লেখা গত ২১ তারিখ একটি জাতীয় দৈনিকে দেখে চোখ আটকে গেল। একবারেই পুরো লেখাটি পড়ে ফেললাম।



Click this link

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সুন্দরভাবে আবেগমিশ্রিত লেখাটি সাধারণ মানুষকে ছুঁয়ে যাওয়ার মত। লেখার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল:

১. সমগ্র দুনিয়া রাজনৈতিকভাবে দৃশ্যমান শাসকরা যেমন শাসন করেন তেমনি অদৃশ্যভাবে আধ্যাত্মিকতা দিয়েও একদল শাসক এই দুনিয়া শাসন করেন।

২. আধ্যাত্মিক জগতের এইসব শাসকদের নাম হচ্ছে, ক. গাউস, খ. কুতুব, গ. আবদাল ইত্যাদি।

৩. এদেরকে কেউ চোখে দেখে না।

৪. কুতুব আবদালরাও জানেন না যে তারা কারা। শুধুমাত্র গাউসরা জানেন।

৫. বাংলাদেশ এখন প্রিয় নবীর বিশেষ নজরে আছে

৬. কোনো দেশের শান্তি-অশান্তি ও নৈরাজ্য-বিশৃংখলা থেকে বোঝা যায় যে আধ্যাত্মিক শাসকরা কেমন বা তাদের মেজাজ কী

৭. খিজির (আ.)-কে বাংলাদেশে ইসলাম ও মুসলমানের বিষয়ে কাজ করতেও আধ্যাত্মিক স্বচ্ছতা বিশিষ্ট লোকেরা দেখেছেন।

৮. নাস্তিকতা ও খোদাদ্রোহিতা বিরোধী সাধনায় যারা আন্তরিকভাবে লেগে আছেন তাদের অনেকেই স্বপ্নযোগে হযরত নবী করিম (সা.)-এর উপস্থিতি, সমর্থন ও অভয়বাণী লাভ করেছেন।

৯. ঢাকার কুতুব কোন পেশায় ছদ্মবেশ নিয়ে আছেন কে জানে? বঙ্গভবন, গণভবন, সচিবালয়, সুপ্রিমকোর্ট, বিশ্ববিদ্যালয়, মাজার, মসজিদ, আর্মি, র‌্যাব, পুলিশ, শিক্ষক, সাংবাদিক, পেশাজীবী কোথায় কোন পরিচয়ে আছেন তিনি? ঠেলাওয়ালা, রিকসাওয়ালা, ফুটপাতের হকার বেশেও তো থাকতে পারেন।

---------------------------

অনেক লম্বা লেখা। লেখাটি পড়ে অবাক হলাম। লেখাটির প্রায় লাইনেই শিরকের লেশ আছে। যারা আমার চেয়ে জ্ঞানী তারা হয়ত আরো চমৎকারভাবে বিশ্লেষণ করতে পারবেন। আমি যতটুকু জানি, তা হলো-

১. আল্লাহ এক। আল্লাহর সাথে কোনো শরীক নেই। গোটা দুনিয়া পরিচালনা একমাত্র আল্লাহই করেন। কোনো গাউস, কুতুব, আবদাল, অলীকে কোনো জগত পরিচালনা করার দায়িত্ব দেয়া হয়নি।

২. দুনিয়ায় ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্ব পরিচালনার জন্য কুরআন হাদিসে স্পষ্ট গাইড লাইন দেয়া আছে। কুরআন হাদিসের আলোকে কেউ এগুলো করুন আর নাই করুন কাল-কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক ব্যক্তির কর্মের হিসেব নিবেন।

৩. কেউ যখন মারা যান তখন তিনি দুনিয়ার কোনো কর্তৃত্ব করতে পারেন না।

৪. কোনো নবী রাসূল স. কেও ইন্তেকালের পর আল্লাহ এই দায়িত্ব প্রদান করেননি।

পরিশেষে বলব, আমরা যেন সর্বাবস্থায় শিরক বিহীন চিন্তা চেতনা ধারণ করতে পারি সে চেষ্টা করতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৬৩৮ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

288244
২৬ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : খুব সুন্দর লিখা ,পড়ে ভালো লাগলো
288251
২৬ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
ছালসাবিল লিখেছেন : ক. গাউস, খ. কুতুব, গ. আবদাল ___> এগুলি কে ভাই Day Dreaming জীবনে প্রথম শুনলাম। Day Dreaming
288335
২৬ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৬
সালাম আজাদী লিখেছেন : উনি কবি সাহেব হুজুরের পংকে পড়েছেন। জাযবার হালতে আছেন, যেমন ভাবে আমাদের অনেক মুরুব্বিকে থাকতে দেখেছি। তার 'আফগান যুদ্ধে আমি আল্লাহকে দেখেছি' বইটাও কিছুটা এই রকম।
288359
২৬ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৯
ভিশু লিখেছেন : 'অদৃশ্য(!) আধ্যাত্মিক শাসক'দের এই ধারনা ১০০% ভ্রান্ত - এতে কোনো সন্দেহ নেই। যারা বলছেন - জিজ্ঞাসিত হলে মহান আল্লাহকে তাঁরা কি বলবেন - তাঁরাই জানেন।
288675
২৭ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:৩৯
শিহাব আহমদ লিখেছেন : (হে নবী, আপনি) "বলুনঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর - যাঁর না আছে কোন সন্তান, না তাঁর সার্বভৌমত্বে আছে কোন শরীক, এবং যিনি কখনও দুর্দশাগ্রস্ত হন না, যে কারণে তাঁর কোন সাহয্যকারীর প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং আপনি সম্ভ্রম সহকারে তাঁর মাহাত্ম্য ঘোষণা করতে থাকুন" (সূরা: বনী ইসরাইল- আয়াত: ১১১)।
290811
০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:১৩
sarkar লিখেছেন : এরা আবার কোন জাতীয় বুদ্ধিজীবি?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File