সবাই আশুরা পালন করলেন অথচ টের পেলাম না কিছু
লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ আমিনুল হক ০৪ নভেম্বর, ২০১৪, ০৮:১৬:৫১ রাত
এই প্রথম পবিত্র আশুরা উদযাপন দেশের বাইরে থেকে অবলোকন করলাম। এত বছর বাংলাদেশে বসে পবিত্র আশুরা উদযাপন করতে দেখেছি। এ বছর দেখলাম সৌদিতে বসে।
সৌদি আরবের অনেককেই দেখলাম আশুরা উপলক্ষ্যে রোজা রাখছেন। এটা অবশ্য কেউ আমাকে বলেনি যে, উনি রোজা রেখেছেন। কিন্তু পরিবেশ থেকে উপলব্ধি করেছি যে অনেকেই রোজা রাখছেন। আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনেকেই রোজা রেখেছেন। পবিত্র রোজার আবহ টের পাওয়া গেছে গত দুই দিনে।
ইসলামে আনুষ্ঠানিকতার চেয়ে যে আন্তরিকতার অনেক মূল্য সেটার বাস্তবিক উদাহরণ দেখা গেল এখানে।
বাংলাদেশে যেকোনো কিছু উদযাপন মানেই অনেক আনুষ্ঠানিকতা। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে জানান দিতে হয় কে কি করছে।
ইবাদত-বন্দেগী একমাত্র আল্লাহর জন্য। এতে যতটা সম্ভব রিয়া তথা লোক দেখানোর দিকটা গোপন করতে পারলে ভাল।
যেখানে যত আনুষ্ঠানিকতা বেশী সেখানে তত ভেজালও প্রবেশ করে বেশী। শরীয়াতের বাইরে গিয়ে কে কত ডিজাইনে ইবাদত করল তার একটা নীরব প্রতিযোগিতা চলে।
এ কারনে বাংলাদেশে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয় লাখো মানুষের অংশগ্রহনে। কিন্তু নবী স. কে কেউ গালি দিলে, ইসলামকে অপমান করলে তাকে প্রতিরোধ কিংবা নূন্যতম প্রতিবাদ করার লোক খুব কমই খুজে পাওয়া যায়।.........
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাংলা সাহিত্যে ১০ ই মহররম নিয়ে বিশাল মার্সিয়া সাহিত্য গড়ে ওঠেছে । এসব কি এমনি এমনি গড়ে ওঠেছে ।
ইসলামে অনেক বিষয়ই আছে প্রকাশ্য বিষয় । যেমন : অন্যায়ের প্রতিবাদ করা । বাংলাদেশে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয় লাখো মানুষের অংশগ্রহনে। আর সৌদি আরবে এটা হয় না । কারণ সেখানে ইয়াজিদী শাসন চালু আছে ।
আপনার কথা সঠিক নয় । নবী স. কে কেউ গালি দিলে, ইসলামকে অপমান করলে তার প্রতিরোধ কিংবা নূন্যতম প্রতিবাদ করার লোক বাংলাদেশে অসংখ্য । উদাহরণ স্বরুপ, লতিফ সিদ্দিকির কথার প্রতিবাদে মানুষ গুলি বিদ্ধ হয়েছে, কারাগারে গিয়েছে । তারপর সরকার তার মন্ত্রীত্ব বাতিল করেছে । তার দলীয় সব পদ বাতিল করেছে । শাস্তি দেওয়ার চিন্তাও করছে বলে জানা যায় ।
জান্নাতের যুবকদের সর্দার শহীদ হয়েছে ১০ মহররম । তার জন্য শোক করা যাবে না । আর তিনি কীভাবে শহীদ হয়েছেন - তা আলোচনা করা যাবে না । যারা এমন কথা বলছেন তারা কি আদৌ মুসলিম কি না সন্দেহ । অথচ তারা নিজেরােই শোক দিবস পালন করেন । এমন শোক দিবস পালন করার দলীল তারা কুরআন হাদিস ঘেটে দিতে পারবেন না । যেমন : ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সালের ঘটনা নিয়ে জামায়াত শিবিরের শোক মিছিল ও শহীদ দিবস পালন ।
নিশ্চয়ই যারা এমন কাজ করার চেষ্টা করে তারা মুয়াবিয়া ইয়াজিদের জারজ বংশধর নয় কি ?
তাদের সেফ করতে বা সঠিক ইতিহাস ঢেকে রাখার জন্য এসব ইসলাম বিরোধী রাজতন্ত্রের অনুচররা কেন মরিয়া হয়ে উঠে ?
মুয়াবিয়া ইসলামের খিলাফত ধংষ করে ৯০ বছরের উমাইয়া রাজতন্ত্র কায়েম করেছিল। এই সেই মুয়াবিয়া যে ইসলাম এর বৈধ খলিফা আলি (রা.)- এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ৪৫ হাজার মুসলিম দের হত্যা করেছিল।
( বৈধ খলিফার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা কুফুরি) ।
এই সেই মুয়াবিয়া যে ইমাম হাসানের সাথে চুক্তি করেছিল তার মৃত্যুর পর ইমাম. হোসেন রা.- কে খলিফা করা হবে।
অথচ তিনি (শহীদদের সর্দার আমীর হামজা রা. - এর কলিজা চিবিয়ে খাওয়া মহিলা হিন্দার পুত্র হলেন মুয়াবিয়া )ওয়াদা ভংগ করে তার পুত্র ইয়াজিদকে পরবর্তী খলিফা মনোনিত করে যায়।
এই ঘটনা ও তার পরবর্তী ইতিহাস পড়া ও আলোচনা করা জামায়াত - শিবির , আহলে হাদিস , সৌদি আরবের রাজতন্ত্রের সমর্থকরা ও ওহাবী সম্প্রদায় নিষিদ্ধ ঘোষনা করার পায়তারা করছে ।
আর সেই ধারাবাহিকতায় আজ এই বিষয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে কোন পোস্ট স্টিকি হয়নি ।
এই মন্তব্য লেখার পর আমাকে শিয়া ঘোষনা করে গালি গালাজও করতে পারে ।
উল্লেখ্য আমি শিয়া নই । বাংলাদেশের প্রচলিত ইসলাম অনুসরণ করি । প্রচলিত ইসলাম বলতে হানাফী মাজহাবকে বুঝাচ্ছি ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন