অবরুদ্ধ গাজাবাসী !! নীরব বিশ্ববিবেক পর্ব-৪

লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নবুনি ০১ নভেম্বর, ২০১৪, ১২:২০:২১ দুপুর

পূর্ব প্রকাশের পর.................

রাইস ইউনিভার্সিটির ড.ক্রিস্টিয়ান উলরিচসেন বলেছেন, এ অঞ্চল জুড়ে মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে উপসাগরীয় দেশগুলোর অবস্থান ফিফিস্তিনদের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতির সাথে সাংঘর্ষিক। ফলে এসব দেশগুলো বেশ কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে গেছে। এটা ভালো যুক্তি হতে পারে; কিন্তু এই বিভক্তকারী সমস্যাটি সমাধান থেকে উপসাগরীয় দেশগুলো দীর্ঘমেয়াদে কতটুকু ক্ষতিগ্রস্থ হবে তা অনুমান করা কঠিন। তারা যদি কেবল স্থায়ী নিষ্পত্তিতে পৌঁছা নিয়ে প্রবল শক্তিতে আক্রমন চালিয়ে যায়, তবে দেখা যাবে তারা একে অন্যের উপর আক্রমন করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত তার সময়, শক্তি ও সম্পদ নিয়ে জাতিসংঘে তার অবস্থান বাড়াচ্ছে। (গার্ডিয়ান)

সনাতন রাজতন্ত্র শাসিত মুসলিম বিশ্বে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের এ অসম যুদ্ধের ও গণহত্যার প্রতিক্রিয়া হয়নি। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব দেবার দাবিদার সৌদি আরব, জর্ডান ও আরব আমিরাত পরোক্ষভাবে ইসরাইলি এই আগ্রাসনকে সমর্থন করেছে। গাজার প্রতিনিধিত্বকারী হামাসকে তারা তাদের নিজেদের ক্ষমতার প্রতি অন্যতম হুমকি বলে মনে করে। যদি হামাস এই যুদ্ধে “জয়ী” হতে পারে, তাহলে হামাসের জনপ্রিয়তা এসব রাজতন্ত্রশাসিত দেশে বেড়ে যাবে। ফলে তা প্রকারান্তরে রাজতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। আরব বিশ্বে শুধু কাতারকে এবং এর বাইরে তুরস্ককে হামাসকে সমর্থন করতে দেখা গেছে। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সংকীর্ণতার উর্দ্ধ উঠে আরব রাষ্ট্রগুলোকে আন্তর্জাতিক ফৌজদারী আদালতে(আইসিসি)যাওয়ার জন্য বিশ্বাসযোগ্য আরব পরিকল্পনা এবং তার দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এবং অবরুদ্ধ গাজা তথা ফিলিস্তিনিদের অবমুক্ত করার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। সব ধরনের শক্তি সর্বাত্মকভাবে প্রয়োগের সর্বোত্তম সময় সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মুহুর্তে মুসলিম বিশ্ব তথা বিশ্ব বিবেককে অবশ্যই তার শক্তি ব্যবহার করা উচিত। যা নির্যাতিত নিষ্পেষিত গাজা তথা ফিলিস্তিনি অসহায় নাগরিকদের স্থায়ী মুক্তির কারণ হতে পারে।

(সমাপ্ত)

বিষয়: বিবিধ

৮৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File