৩য় পর্ব : পার্ল হারবার আক্রমণ
লিখেছেন লিখেছেন জহুরুল ২৩ অক্টোবর, ২০১৪, ০৩:৩৩:৪৪ দুপুর
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী ইউএসএস ক্যালিফোর্নিয়া (বিবি-৪৪) ডুবে যাচ্ছে।
২য় পর্বের পর
১৯৪১ সালের শুরুতে এ্যাডমিরাল ইসোরোকু ইয়ামামোতো'র (পরবর্তীতে জাপানের সম্মিলিত যুদ্ধ জাহাজের প্রধান) নেতৃত্বে পার্ল হারবারের উপর আক্রমণের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদভুক্ত এলাকা (সাধারণভাবে জাপানীদের অভিমতে ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া) রক্ষা করার জন্য প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।[২১] এ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি প্রথাগত পরিকল্পনা গ্রহণ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু জাপান সাম্রাজ্যের নৌবাহিনীর জেনারেল স্টাফের তরফ থেকে হুমকি, নৌ সদরদপ্তর থেকে অনেক তর্ক-বিতর্কসহ তার পদত্যাগের ব্যাপারেও আলোচনা হয়।[২২] প্রাথমিকভাবে ক্যাপ্টেন মিনোরু গেন্ডার তত্ত্বাবধানে ১৯৪১ সালের বসন্তের শুরুতে আক্রমণের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ চলতে থাকে। জাপানী আক্রমণের পরিকল্পনাবিদ ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ বিমানবাহিনী কর্তৃক ইতালীয় নৌবহরের উপর বিমান আক্রমণের ঘটনাসমূহ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। এর ফলে তারা পার্ল হারবারে মার্কিন নৌবহরের উপর খুবই সফল ও ব্যাপক আক্রমণ পরিচালনা করে পরিকল্পনাটির বাস্তবায়ন করতে পেরেছিল।
পরবর্তী কয়েক মাস ধরে বিমানের পাইলটদের জন্য প্রশিক্ষণ, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ এবং বুদ্ধিমত্তা নিরূপণ করা হয়েছিল। সমুদয় প্রস্তুতি-পর্ব সম্পন্ন হওয়াসত্ত্বেও সম্রাট হিরোহিতো আক্রমণ পরিকল্পনার ব্যাপারে সম্মতিদানের জন্য ৫ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করেন যেখানে ইম্পেরিয়াল কনফারেন্সের তিন-চতুর্থাংশ বিষয়াদি সম্পাদনের পর এসমস্যার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।[২৩] চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদানের জন্য সম্রাট ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। জাপানের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ তাকে পরামর্শ দিলেন যে, চীনের ঘটনা, বিপদজনক হয়ে ওঠা মানচুকু এবং কোরিয়ার উপর নিয়ন্ত্রণকে আরো পাকাপোক্ত করার জন্যই আক্রমণ প্রয়োজন।[২৪] যাইহোক, ১৯৪১ সালের শেষ দিকে অনেক সামরিক বিশ্লেষকেরই ধারণা ছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যে যুদ্ধবিগ্রহ অনিবার্য হয়ে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় সামরিক ঘাঁটিগুলোকে একাধিক বিষয়ের উপর সতর্কিত করা হয়। কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা সন্দিহান ছিলেন যে, পার্ল হারবারই হবে জাপানের প্রথম লক্ষ্য। তারা প্রত্যাশা করেছিলেন যে, ফিলিপাইনই হয়তো জাপান কর্তৃক প্রথম আক্রান্ত হতে পারে। যুদ্ধ ঘাঁটি তৈরি, ম্যানিলায় নৌ-ঘাঁটির কারণে সমুদ্রপথ বন্ধ, বিশেষত দক্ষিণের অঞ্চলগুলোয় সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়, যা ছিল জাপানের প্রধান উদ্দেশ্য।[২৫][২৬] এছাড়াও তারা আরো ভুলের মধ্যে ছিল যে, জাপান ঐ সময়ে একাধিক প্রধান নৌ-যুদ্ধ পরিচালনা করার মতো সামরিক শক্তিমত্তায় সক্ষম ছিল না।[২৭]
(সূত্র উইকি)
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১১৮৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন