১ম পর্ব : পার্ল হারবার আক্রমণ
লিখেছেন লিখেছেন জহুরুল ১৯ অক্টোবর, ২০১৪, ০৮:২৯:৫৮ সকাল
একটি জাপানী প্লেন থেকে যুদ্ধ জাহাজের সারি আলোকচিত্রটি আক্রমণের শুরুতে তোলা হয়েছে। বিস্ফোরণটির কেন্দ্র ছিল টর্পেডো স্ট্রাইক ইউএসএস ওকলাহামাতে (বিবি-৩৭)। দু'টি জাপানী প্লেনের আক্রমণ দেখা গিয়েছিল: একটি ইউএসএস নিওশোর (এও-২৩) ওপর এবং একটি নৌবাহিনী প্রাঙ্গণের ওপর।পার্ল হারবার আক্রমণ
সংঘর্ষের প্রেক্ষাপট
ওয়াহো দ্বীপের পার্ল হারবারে ১৯০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নৌ-ঘাঁটি স্থাপন করে। তখন থেকেই এটি জাপান সাম্রাজ্যের নৌবাহিনীর চোখে ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পার্ল হারবার নৌ-ঘাঁটি অত্যন্ত সুরক্ষিতভাবে ছিল যা ওয়াহো'র দূর্গ হিসেবে পরিচিত। দূর্গের অভ্যন্তরে যুদ্ধজাহাজের বন্দুকের গুলি, বোমাবর্ষণ ৪০ সে.মি প্রস্থের স্থাপনকৃত দেয়াল ভেদ ভিতরে প্রবেশ করা ছিল অসম্ভব। সেখানে কোন পতিত জমি না রাখায় প্রতিপক্ষের নৌবাহিনীর গোলাবর্ষণ ও অবতরণ করে সাফল্য লাভ করা সম্ভব নয়। কৌশল প্রয়োগ করে জাপানের সামরিক বাহিনী ঐ ঘাঁটিতে অনেক নির্মাণ শ্রমিককে গুপ্তচর হিসেবে প্রেরণ করে। ফলে, জাপান কর্তৃপক্ষ তাদের মাধ্যমে নৌ-ঘাঁটির বিস্তারিত বিবরণ জানতে সক্ষম হয়।
প্রত্যাশিত যুদ্ধ।
জাপান কর্তৃক মালয় এবং ডাচ ইস্ট ইণ্ডিজে আগ্রাসী ভূমিকা পালন ও দখলের স্বার্থে পার্ল হারবার আক্রমণটি নিরপেক্ষ এলাকায় অবস্থিত ইউ.এস প্যাসিফিক রণতরীতে পরিচালিত হয়। এতে জাপান প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে খনিজ তৈল এবং রাবারের দখলস্বত্ত্ব লাভের বিপুল সম্ভাবনা দেখে। জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনাটি তেমন ছিল না। ১৯২০-এর দশক থেকে পারস্পরিক সহযোগিতা ও উন্নয়নের আওতায় উভয় দেশই এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন ছিল। কিন্তু, ১৯৩১ সালে এশিয়ার প্রবল পরাশক্তি হিসেবে জাপানের আগ্রাসী মনোভাবের প্রেক্ষাপটে মঞ্চুরিয়া অধিগ্রহণের ফলে পরিবেশ খুব দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠে ও উত্তেজনা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। পরবর্তী দশকে ভৌগোলিক সীমারেখা পেরিয়ে জাপান চীনের ভূমি দখল করার পাশাপাশি দেশটির সামরিক শক্তি খর্ব করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালাতে থাকে। অবশেষে নিরন্তর প্রয়াসে পর্যাপ্ত সম্পদ লাভের জন্যে চীনের মূলভূমি দখলের যোগ্যতা লাভে সক্ষম হয় দেশটি। মুরে'র নেতৃত্বে সাউদার্ন অপারেশনের কৌশল হিসেবে ২য় বিশ্বযুদ্ধের ("মহান পূর্ব এশিয়ার যুদ্ধ") সূচনা পর্ব হিসেবে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। বিশ্বের ইতিহাসে মুরে এবং তার কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২য় বিশ্বযুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটে। বৈশ্বিক যুদ্ধ হিসেবে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকাই শুধু নয়; এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোও এ যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে।
(উইকি)
পার্ল হারবার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন
বিষয়: আন্তর্জাতিক
৩১৯৬ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন