পার্ল হারবার : সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন
লিখেছেন লিখেছেন জহুরুল ১৬ অক্টোবর, ২০১৪, ১০:০৪:০৭ সকাল
ওয়াহো দ্বীপের পার্ল হারবারে ১৯০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নৌ-ঘাঁটি স্থাপন করে। তখন থেকেই এটি জাপান সাম্রাজ্যের নৌবাহিনীর চোখে ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।তখন থেকে পরিকল্পনা; ফলাফল আক্রমণ ।
জাপানের সেই আক্রমণ জাগিয়ে তুলেছিল 'ঘুমন্ত দৈত্য' যুক্তরাষ্ট্রকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
নেতৃত্ব দেয়:হাজব্যাণ্ড কিমেল ও ওয়াল্টার শর্ট
সামরিক শক্তি
৮টি যুদ্ধের জাহাজ
৮টি ক্রুইজার
৩০টি ডেস্ট্রয়ার
৪টি ডুবোজাহাজ
৪৯টি অন্যান্য জাহাজ
~৩৯০ উড়োজাহাজ
প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি
৪টি যুদ্ধের জাহাজ ডুবে গিয়েছিল
৩টি যুদ্ধের জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত
১টি যুদ্ধের জাহাজ ভূপৃষ্ঠ ছিল
২টি ডেস্ট্রয়ার ডুবে গিয়েছিল
১টি অন্যান্য জাহাজ ডুবে গিয়েছিল
৩টি ক্রুইজার ক্ষতিগ্রস্ত
১টি ডেস্ট্রয়ার ক্ষতিগ্রস্ত
৩টি অন্যান্য জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত
১৮৮টি উড়োজাহাজ ধ্বংস
১৫৫টি উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত
২,৪০২ জন নিহত
১,২৪৭ জন আহত
বেসামরিক দুর্ঘটনা
৫৭ জন নিহত
৩৫ জন আহত
জাপান
নেতৃত্ব দেয়:চুইচি নাগুমো ও ঈসোরোকু ইয়ামোতো
সামরিক শক্তি
৬টি উড়োজাহাজ বাহক
২টি যুদ্ধের জাহাজ
২টি হেভি ক্রুইজার
১টি লাইট ক্রুইজার
৯টি ডেস্ট্রয়ার
৮টি ট্যাংকার
২৩টি নৌবহর ডুবোজাহাজ
৫টি ছোট ডুবোজাহাজ
৪১৪টি উড়োজাহাজ
প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি
৪টি ছোট ডুবোজাহাজ ডুবে গিয়েছিল
১টি ছোট ডুবোজাহাজ ভূপৃষ্ঠ ছিল
২৯টি উড়োজাহাজ ধ্বংস
বেসামরিক দুর্ঘটনা
৬৪ জন নিহত
১ জন বন্দি
মার্কিন রণতরী আরিজোনা থেকে তেল নিঃসরণ ঘটে চলেছে
৬টি বিমানবাহী জাহাজ থেকে ৩৫৩টি জাপানি যুদ্ধ বিমান, বোমারু বিমান এবং টর্পেডো বিমান নৌ-ঘাঁটিটিতে একযোগে আক্রমণ করে
আক্রান্তকারী জাপান সৈন্যদলের সামরিক সরঞ্জাম লোকসান ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ছিল খুবই হালকা প্রকৃতির। তাদের ২৯টি যুদ্ধ বিমান ভূ-পাতিত হয় এবং ৫টি খর্বাকৃতি সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ তলিয়ে যায়। হামলাকারীদের মধ্য থেকে ৬৫ জন নিহত কিংবা আহত হয়। 'কাজু সাকামাকি' নামীয় এক জাপানি নাবিককে আটক করা হয়।
জাপানীরা আক্রমণ চালানোর আগে আমেরিকার আরিজিনার জাহাজের তেলট্যাঙ্কে ৫ হাজার ৭শ' টন তেল ভরা হয়েছিল।
পার্ল হারবার ধ্বংসাবশেষ নিয়ে গবেষণাকারী ইতিহাসবিদ ড্যানিয়েল মার্টিনেজ এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, সাগরতলে পড়ে থাকা জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন লিটার করে তেল নিঃসরণ ঘটেছে। প্রতিদিন যেসব পর্যটক ও দর্শনার্থী সমুদ্রপারের সেই স্মৃতিস্মারক দেখতে আসছে তারা স্বচৰেই এ দৃশ প্রত্যক্ষ করে থাকে। প্রতি ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠে ভেসে ওঠে ফোঁটা ফোঁটা কালো তেল। কেউ কেউ একে 'কালো অশ্রু' হিসেবে উল্লেখ করছে।
বিস্তারিত পরে আসবে ইনশাআল্লাহ।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১৯০০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন