ষষ্ঠ পর্ব : আধুনিক বিশ্ব বনাম পারমানবিক অস্ত্র

লিখেছেন লিখেছেন জহুরুল ১৩ অক্টোবর, ২০১৪, ০৯:১০:০৮ সকাল

শীর্ষ কয়েকটি সামরিক শক্তিধর দেশ

প্রচীনকাল থেকে সামরিক বাহিনী একটি সার্বভৌম দেশের শক্তির প্রতীক। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি স্বাধীন দেশের রয়েছে নিজস্ব সেনাবাহিনী। এর কাজ হল অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত শত্রুর কাছ থেকে যুদ্ধ করে নিজ মাতৃভূমি রা করা। সেনাসদস্যদের সংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সামরিক বাহিনীর অধিকাংশ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, কোরীয় যুদ্ধ, এমনকী গৃহযুদ্ধে জড়িত ছিল। উপরন্তু এই সামরিক বাহিনী নিজ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য যুদ্ধে সরাসরি জড়িত ছিল, কোনওটি আবার পালন করেছে হানাদারদের ভূমিকা- কালিমা লেপন করেছে মানবতার ইতিহাসের পাতায়।

চীন

সেনাসদস্যদের সংখ্যা-বিচারে বিশ্বে প্রথম চীন। তবে সামরিক ব্যয়ের ক্ষেত্রে দ্বিতীয়। চীনের সেনাবাহিনীর নাম পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৭ সালের ১ আগস্ট। চীনের নিয়মিত সেনাসদস্য ২২ লাখ ৮৫ হাজারসংরক্ষিত আর্মি ৮ লাখ। আধা সামরিক বাহিনীতে রয়েছেন ১৫ লাখ সদস্য। এছাড়া আছে ১০ হাজার ট্যাংক, সুবিশাল গোলন্দাজ ইউনিট, অ্যান্টিট্যাংক মিসাইল ইউনিট এবং ২৪০টি পারমাণবিক অস্ত্র। নৌবাহিনীতে রয়েছেন ৩৫ হাজার কোস্টাল ডিফেন্স ফোর্স এবং ৫৬ হাজার মেরিন সেনা। ৫৬ হাজার রয়েছেন পিএলএএন এভিয়েশনে। তারা কয়েকশ বিমান ও হেলিকপ্টার পরিচালনা করেন। নৌবহরে রয়েছে একটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ, ২৭টি উভচর যুদ্ধজাহাজ, ৪৮টি ফ্রিগেট জাহাজ, ২৭টি ড্রেস্ট্রয়ার, ১৫টি করভিট জাহাজ, ১০টি নিউকিয়ার সাবমেরিন ও ৪০টি সাবমেরিন। বিমানবাহিনী রয়েছে ৩৭০টি জঙ্গিবিমান, ১১৮টি বোমারু বিমান ও ১ হাজার ১৩০টি যুদ্ধবিমান

যুক্তরাষ্ট্র

সেনাসদস্যদের সংখ্যা-বিচারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান দ্বিতীয়। কিন্তুু সামরিক ব্যয়ে দেশটি বিশ্বের মধ্যে প্রথম। বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৩৯ শতাংশ খরচ করে এই দেশ। সেনা, নৌ, মেরিন কর্পস, বিমান আর কোস্টগার্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী গঠিত। মার্কিন সামরিক বাহিনী গঠিত হয় ১৭৭৫ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের নিয়মিত সেনাসদস্য ১৪ লাখ ২৯ হাজার ৯৯৫। সংরক্ষিত আর্মি ৮ লাখ ৫০ হাজার ৮৮০। আধা সামরিক বাহিনীতে রয়েছেন ১১ হাজার ৩৫ সদস্য। যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে ৮ হাজার ৭২৫টি সাঁজোয়া ট্যাংক, ১০টি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ, ৩০টি উভচর যুদ্ধজাহাজ, ২২টি ক্রুজার, ৬২টি ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজ, ২৬টি ফ্রিগেট, ২টি করভিট যুদ্ধজাহাজ, ৭১টি নিউকিয়ার সাবমেরিন, ২টি সাবমেরিন, ৩ হাজার ৪৩টি যুদ্ধবিমান, ১৭১টি বোমারু বিমান, ১ হাজার ১৮৫টি জঙ্গিবিমান, ৬ হাজার ৪১৭টি সাঁজোয়া হেলিকপ্টার এবং ৯ হাজার ৬০০টি পরমাণু অস্ত্র।

ভারত

ভারতের সামরিক বাহিনীতে মোট ১ লাখ ৩২৫ হাজার নিয়মিত, ১১ লাখ ৫৫ হাজার সংরতি ও ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৩০০ আধা সামরিক সেনা রয়েছেন। এ দেশের সামরিক বাহিনীর ভা-ারে রয়েছে ৫ হাজার ৯৭৮টি সাঁজোয়া ট্যাংক, ২টি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ, ৬টি উভচর যুদ্ধজাহাজ, ১৫টি ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজ, ২৮টি ফ্রিগেট, ৩৬টি করভিট যুদ্ধজাহাজ, ৫৪টি প্যাট্রোল বোট, ২টি নিউকিয়ার সাবমেরিন, ১৮টি সাবমেরিন, ৯০১টি যুদ্ধবিমান, ৯১টি বোমারু বিমান, ২২০ জঙ্গিবিমান, ১৪০টি সাঁজোয়া হেলিকপ্টার এবং ৯০ থেকে ১০০টি পরমাণু অস্ত্র। ভারতের সামরিক বাহিনীতে নেপাল ও ভুটানের নাগরিকসহ তিব্বতি উদ্বাস্তুÑ যারা স্থায়ীভাবে ভারতে বসবাস করছেন, তারা যোগ দিতে পারেন। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ, পর্তুগাল-ভারত যুদ্ধ ও চীন-ভারত যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। তারা অভ্যন্তরীণ আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনের সাফল্য দেখিয়েছে।

রাশিয়া

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ১৯৯২ সালের ৭ মে সোভিয়েত আর্মফোর্সের সদস্য ও সরঞ্জাম নিয়ে প্রতিষ্ঠা হয় রাশিয়ান সামরিক বাহিনী। সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের আগে এটি ছিল বিশ্বের অত্যন্ত শক্তিশালী সামরিক বাহিনী। নিয়মিত ১০ লাখ ৪০ হাজার, সংরক্ষিত ২০ লাখ ৩৫ হাজার এবং আধা সামরিক বাহিনীতে রয়েছেন ৪ লাখ ৪৯ হাজার সদস্য। রাশিয়ার রয়েছে ২২ হাজার ৭১০টি সাঁজোয়া ট্যাংক, ১টি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ, ১৫টি উভচর যুদ্ধজাহাজ, ৫টি ক্রুজার, ১৪টি ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজ, ৫টি ফ্রিগেট, ৭০টি করভিট যুদ্ধজাহাজ, ৩৩টি নিউকিয়ার সাবমেরিন, ১৭টি সাবমেরিন, ১, হাজার ২৬৪টি যুদ্ধবিমান, ১৯৫টি বোমারু বিমান, ১ হাজার ২৬৭টি জঙ্গিবিমান, ১ হাজার ৬৫৫টি সাঁজোয়া হেলিকপ্টার এবং ১২ হাজার পরমাণু অস্ত্র। রাশিয়া বিশ্বের অনেক দেশে অস্ত্র রপ্তানি করে থাকে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অটোমেটিক রাইফেল একে ৪৭-এর নির্মাতা ও ডিজাইনার রাশিয়ার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিখাইল কালাশনিকভ। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে যে-কোনও দেশের বিদেশি নাগরিক অন্তÍর্ভুক্ত হতে পারেন।

দক্ষিণ কোরিয়া

সেনা, নৌ, মেরিন কর্পস বিমান ও রিজার্ভ বাহিনী নিয়ে দণি কোরিয়ার ‘গণতান্ত্রিক কোরিয়ার সামরিক বাহিনী’ গঠিত। কোরিয়া ভাগের পর দণি কোরিয়ার সামরিক বাহিনী গঠিত হয় ১৯৪৮ সালে। নিয়মিত ৬ লাখ ৮৭ হাজার, সংরক্ষিত ১০ লাখ, আধা সামরিক বাহিনীতে রয়েছেন ৩৫ লাখ সদস্য। দণি কোরিয়ার রয়েছে ২ হাজার ৪২৯টি সাঁজোয়া ট্যাংক, ১৮টি উভচর যুদ্ধজাহাজ, ১২টি ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজ, ৯টি ফ্রিগেট, ২৮টি করভিট যুদ্ধজাহাজ, ৮৩টি প্যাট্রোল বোট, ১৮টি সাবমেরিন, ৬৪৮টি যুদ্ধবিমান, ৬০টি বোমারু বিমান ও ৩৫২টি জঙ্গিবিমান। দণি কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জাহাজবিধ্বংসী ক্রুজ পেণাস্ত্র তৈরি করছে। রাশিয়ার ইয়াখন্ত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের আদলে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি শব্দের গতির চেয়ে সর্বোচ্চ আড়াইগুণ বেশি গতিতে পানির ওপর দিয়ে উড়ে যেতে সম। কোরীয় ও ভিয়েতনাম যুদ্ধে উত্তর কোরীয় সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল।

ইরান

১৯২৫ সালে পাহলভি সাম্রাজ্যের সময় আধুনিক ইরানি সশস্ত্রবাহিনী যাত্রা শুরু করে। সে সময় দেশটির অস্ত্র আসত যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে মোড় নেয়। মার্কিন অবরোধের মধ্যেও ইরান নিজেদের সামরিক বাহিনী পুনর্গঠন করে। সেনাবাহিনী, স্থলবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং আইআপজিসি নিয়ে ইরানি সামরিক বাহিনী গঠিত। নিয়মিত ৫ লাখ ২৩ হাজার, সংরক্ষিত ৩ লাখ ৫০ হাজার এবং আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য ১৫ লাখ ১০। ইরানের রয়েছে ২ হাজার ৮৯৫টি সাঁজোয়া ট্যাংক, ২৫টি উভচর যুদ্ধজাহাজ, ৫টি ফ্রিগেট, ২টি করভিট যুদ্ধজাহাজ, ১২৭টি প্যাট্রোল বোট, ২৮টি সাবমেরিন, ৪০৭টি যুদ্ধবিমান ও ১০০টি সাঁজোয়া হেলিকপ্টার। মার্কিন-ইসরায়েলের শত বাধার পরও দেশটি বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের শক্ত সামরিক শক্তি এবং ড্রোন প্রযুক্তির অধিকারী শীর্ষ ৫টি দেশের অন্যতম।

ব্রাজিল

নিয়মিত ৩ লাখ ২৭ হাজার ৭১০, সংরক্ষিত ১৩ লাখ ৪০ হাজার এবং আধা সামরিক বাহিনীতে রয়েছেন ৩ লাখ ৯৫ হাজার সদস্য। দেশটির সামরিক-ভা-ারে রয়েছে ৫৮১টি সাঁজোয়া ট্যাংক, একটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ, ৫টি উভচর যুদ্ধজাহাজ, ৯টি ফ্রিগেট, ৫টি করভিট যুদ্ধজাহাজ, ৩৫টি প্যাট্রোল বোট, ৭টি সাবমেরিন, ২২৩টি যুদ্ধবিমান ও ১৩টি সাঁজোয়া হেলিকপ্টার। ব্রাজিল সামরিক বাহিনী ১৮৮৯, ১৯৩০, ১৯৪৫ ও ১৯৬৪ সালের অভ্যুত্থান জড়িত ছিল। সর্বশেষ ১৯৬৪ সালের অভ্যুত্থানের পর সামরিক একনায়কতন্ত্র শুরু হয়। তা ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। বর্তমানে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে নেই কোনও গুরুতর বহিরাগত বা অভ্যন্তরীণ হুমকি। তাই সশস্ত্রবাহিনীর জন্য নতুন ভূমিকার অনুসন্ধান চলছে। আমাজন জঙ্গল নিয়ে কাজ করছেন ব্রাজিলের সেনারা। এছাড়া সামরিক বাহিনী, বিভিন্ন সামাজিক কর্মকা- যেমনÑ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, যোগাযোগ-ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

ফ্রান্স

এ দেশের সামরিক ইতিহাস ২০০০ বছরের। ফ্রান্সই প্রথম বিশ্বকে ফরাসি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র উপহার দেয়। ১৯০০ ও ২০০০ শতকের শুরুতে ফরাসি শক্তি ও আর্থিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। তারা বিশ্বজুড়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে সম হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রায় পুরোটাই ফ্রান্সের মাটিতে সংঘটিত হয় এবং জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্রান্স দখল করলে অস্থায়ী সরকার গঠন করে অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ফ্রান্সের নিয়মিত ৩ লাখ ৫২ হাজার ৭৭১, সংরক্ষিত ৭০ হাজার এবং আধা সামরিক বাহিনীতে রয়েছেন ৪৬ হাজার ৩৯০ সদস্য। স্থল, বিমান ও নৌবাহিনী নিয়ে ফ্রান্সের সশস্ত্রবাহিনী গঠিত। ফ্রান্সের রয়েছে ৪০৬টি সাঁজোয়া ট্যাংক, একটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ, ৫টি উভচর যুদ্ধজাহাজ, ২৩টি ফ্রিগেট, ১৫টি করভিট যুদ্ধজাহাজ, ১০টি নিউকিয়ার সাবমেরিন, ৩০৬টি যুদ্ধবিমান, ৩৬টি সাঁজোয়া হেলিকপ্টার এবং ৩০০টি পরমাণু অস্ত্র।



তুরস্ক

এ দেশের সামরিক বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২০ সালে ৩ মে। নিয়মিত ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৬০, সংরক্ষিত ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭০০ ও আধা সামরিক বাহিনীতে রয়েছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ২০০ সদস্য। সেনা, নৌ, বিমান, ফৌজি-পুলিশ এবং কোস্টগার্ড নিয়ে তুর্কি সশস্ত্রবাহিনী গঠিত। তুরস্কের রয়েছে ৫ হাজার ২০০টি সাঁজোয়া ট্যাংক, ৩৪টি উভচর যুদ্ধজাহাজ, ২৫টি ফ্রিগেট, ৯টি করভিট যুদ্ধজাহাজ, ৩৩টি প্যাট্রোল বোট, ১৩টি সাবমেরিন, ৪৬৫টি যুদ্ধবিমান, ৩৬টি সাঁজোয়া হেলিকপ্টার ও ন্যাটোর পরমাণু অস্ত্র। আধুনিক তুরস্কের স্থাপতি কামাল আতাতুর্ক একটি শক্তিশালী, আধুনিক ইউরোপীয় রাষ্ট্র হিসেবে তুরস্কের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তার সরকারের মূল নীতিগুলো ‘কামালবাদ’ নামে পরিচিত। ওই নীতিগুলো পরবর্তী সব তুরস্ক সরকারের জন্য নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করেছে। তুরস্কের সামরিক বাহিনী নিজেদের কামালবাদের রী বলে মনে করে।অস্ত্র তথ্য এখান থেকে নেওয়া হয়েছে।

প্রথম পর্ব

দ্বিতীয় পর্ব

তৃতীয় পর্ব

চতুর্থ পর্ব

পঞ্চম পর্ব

বিষয়: আন্তর্জাতিক

২৪৭৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

274038
১৩ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:৫১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো
মার্কিন সেনাবাহিনি প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এগিয়ে কিন্তু মানসিক দিক দিয়ে ততট নয়।
১৪ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:০৫
218085
জহুরুল লিখেছেন : মানসিক ভারস্যাম্যর কারনে ইদানিং অমুসলিম সৈনিকের মধ্যে মৃত্যুর হার (অাত্নহত্য) বেড়ে যাচ্ছে ভাই কবির।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File